এনায়েতনগর ইউনিয়ন কমান্ডার হযরত আলী খানের বিরুদ্ধে একাধীক অভিযোগ ফুঠে উঠেছে। আওয়ামী পন্থী হযরত আলী খান টাকার বিনিময় অবৈধ ভাবে নানান জায়গায় আনসার বাহিনীর পোশাক পড়িয়ে সাধারণ লোকদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করান এবং নানান জায়গায় চাদাবাজী করান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হযরত আলী খান প্রশিক্ষীত ভিডিপি সদস্যদের সাথে টাকার বিনিময় দায়িত্ব দেন যদি কোনো ভিডিপি সদস্য টাকা না দেন তাহলে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়না এবং অমানবিক আচরণ করেন ভিডিপি সদস্যদের সাথে। গত ১৩ ফেব্রæয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে সুরক্ষা যাতায়েতের দায়িত্ব পালনের শেষ করেন ভিডিপি সদস্যরা।
ভিডিপি সদস্যদের বেতন ভাতা নিয়ে চলে নানান টাল বাহানা পরে তাদের কয়েক ধাপ বেতন পরিষদ হলে বকেয়া ছিলো আরো কয়েক ধাপ বেতন ভাতা। মাঝে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন ভিডিপি সদস্যরা এমনকি ভিডিপি সদস্যদের ভুমিকা ছিলো অপরীশিম। পুলিশের গুলিতে আহত সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন ভিডিপি সদস্যরা আর পুলিশ সেই ভিডিপি সদস্যদের উপরে লাঠি চার্জও করেন কিন্তু এর বিনিময় কোনো দাবি জানাননি ভিডিপি সদস্যরা।একে একে কয়েক মাস কেটে গেলে এক ভিডিপি সদস্য হযরত আলী খান কমান্ডারের কাছে বেতন ভাতার কথা জিজ্ঞাস করলে জবাবে তিনি বলে ওঠে তোরা আন্দোলন কৈরা সরকার খেদাইছোস তোদের কিসের টাকা। সাথে ঐভিডিপি আরেক ভিডিপি সদস্যকে বয়েজ পাঠিয়ে জানাই হযরত আলী খান এমন কথা বলছে আমাদের টাকা নাকি দিবে না সরকার খেদাইছি বলে। গত বছর ভিডিপি সদস্যদের চাউলের থেকে ৫৬ কেজি চাউল,ডাউল ও তেল আত্মস্বাদ করেন হযরত আলী খান, আনসার বাহিনীর আইন অনুযায়ী যার যার রেশন সে সে গ্রহন করবে কিন্তু হযরত আলী খান ৩০ জন ভিডিপি সদস্যর রেশন চাষাড়া রেলষ্টেশনে নিয়ে ভাগবাটওয়ারা করে আতœস্বদ করেন।
এছাড়া আমাদের দেশে শ^রদীয় দুর্গপুজাতে সুরক্ষার জন্য ভিডিপি সদস্যদের নিয়োজিত করা হয় কিন্তু সেখানেও হযরত আলী খান ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এমনকি ভিডিপি সদস্যদের লোভ দেখান কিন্তু ভিডিপি সদস্যরা রাজি না হলে হযরত আলী খান প্রশিক্ষনহীন লোক দের টাকার বিনিময় নিয়োজিত করেন সেই সাথে তার পকেট গরম করেন। তার এই দুর্ণিতির অভিযোগ দুদকের কাছে গেলোও কোনো কাজ হয়নি এছাড়া হযরত আলী খান প্রতিবার শিয়াল পন্ডিতের মতো বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের অবৈধ টাকার হিসাব প্রকাশ করে বলেন, তার বাবার তৈল ব্যবসা আছে আবার তার চায়ের দোকান আছে কিন্তু এইগুলো বানানোয়াট।
হযরত আলী খানের বাবার তেলের ব্যবসা মেঘনা গ্রুপের সাথে অনেক আগের থেকে লোকসান হয় এবং যেই চায়ের দোকানের কথা বলেন সেটা অন্যলোকের বিপদে পড়লেই দোকনদারকে টাকা দিয়ে নিজের বানিয়ে নেন। হযরত আলী খান এতো নিচ মানুষ যে তিনি টাকার জন্য অনেক নিচে নামেন এমনকি নিজের দোস ঢাকতে মহিলা ভাড়া করে সাক্ষি সাজান যাতে তার চাদাবাজী বন্ধ না হয়। হযরত আলী খান অঙ্গিভুত আনসার ছিলেন না বরং তিনি ভিডিপি সদস্য হওয়ার জন্য ২১ দিনের মৌলিক প্রশিক্ষন শেষ করে ইউনিয়ন কমান্ডার হয়ে ওঠে এর পর থেকে শুরু হয় তার চাদাবাজী আর আরাম আয়েরেশ জীবনযপন, দামি ফ্ল্যাটে থাকেন কোনো কাজকর্ম করেননা বললেই চলে চাকুরী দিবে বলে হাজার হাজার টাকা চাদাবজী করে আনসার বাহিনীর নাম ক্ষন্ন করে উল্লাসে আছে হযরত আলী খান।