বর্তমান সময়ে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে আলোচিত ব্যাক্তি জাকির খান। ৫ আগষ্টের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে অগ্যাত স্থানে গাঁ ঢাকা দেয় দলবল সহ ওসমান পরিবার। কারারুদ্ধ জাকির খান হয়ে ওঠেন নারায়ণগঞ্জের কান্ডারী। শহর ও শহরতলীতে জাকির খানের অপ্রতিরোধ্য জন্যপ্রিয়তাকে পুজি করে কতিপয় নেতা কর্মীর অপতৎপরতা জাকির খানকে করে তুলছে প্রশ্নবিদ্ধ।
পতিত সরকারের কতিপয় নেতা কর্মী ভোল পাল্টানোর মাধ্যমে বড়বড় মিছিল নিয়ে জাকির খানের সমর্থনে মিছিল করে নিজেদের জাকির খানের লোক পরিচয় দিয়ে নানান অপকর্ম করে যাচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে সাংসদের কাছের লোক পরিচয়ে হাট-ঘাট দখলদাররা বর্তমানে জাকির খানের পরিচয়ে আবারো দখল দারিত্বের মহাউৎসবে মেতে উঠেছে। ইতোমধ্যেই অনেকে ভোল পাল্টে আখের গোছাতে শুরু করায় জনমনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। নতুন বোতলে পুরোনো মদ প্রকৃত জাকির খান প্রেমিদের মনে হতাশার জন্ম দিচ্ছে।
সম্প্রতি সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ায় যুব সমাজের মাঝে জাকির খানের প্রভাব লক্ষনিয় ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে পথ-ঘাট থেকে শুরু করে আদালত পাড়ায় মামলার দিন হাজার হাজার সমর্থকের উপস্থিত তার জনপ্রিয়তার উজ্জল দৃষ্টান্ত হিসেবে মনে করে শহরবাসী। মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা একজন নেতাকে আগামীর পথে স্বচ্ছতার সাথে এগিয়ে যেতে যে সকল প্রতিবন্ধকতার মোকাবেলা করতে হয় তার অন্যতম হলো কর্মীবদ্ধবতা। জাকির খানের কারারুদ্ধতার সুযোগে এক শ্রেনির চাটুকার তার নাম ভাঙ্গিয়ে শুরু করেছে অপতৎপরতা।
এ সকল চাটুকারদের হাত থেকে নিজের ইমেজ রক্ষা করতে জাকির খানকে এখন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিগত সরকারের আমলে মধু লোভীদের প্রতিহত করে প্রকৃত জাকির প্রেমিদের মুল্যায়ন করতে হবে। বিচক্ষনতার সাথে বুঝতে হবে কারা তার ইমেজকে ডোবাতে চায়। আর এই তৎপরতা বন্ধ করতে পারলেই জাকির খান হয়ে উঠবেন গণ মানুষের নেতা।