অদ্য ২৫/০১/২০২৫ইং রোজ শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স হল, ২২/১ তোপখানা রোড এ নাগরিক মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সংস্কার ও জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন,
জুলাই আগষ্টের গণবিল্পবে অংশ নেয়া ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিল্পবে কথিত স্বৈরাচরের বিদায়ে বাংলাদেশর বিরোধী রাজনৈতিক দলের দীর্ঘ দিনের গুম, খুন, হত্যা, সন্ত্রাস ও জেল জীবনের অবসান ঘটিয়ে মুক্ত বাতাসে বিচরন করার সুযোগ এনে দিয়ে ভুল করেন নি। আজ কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যখন তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করে ছাত্রদের বিষয়ে উদ্দেশ্য মুলক কথা বলেন তখন হৃদয়ে রক্ত ক্ষরন হয়। অসংখ্য মায়ের বুক খালি করে ছাত্রজনতাসহ হাজার হাজার মানুষের পঙ্গুত্ব বরণের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র মানবাধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ এনে দিয়েছেন আমরা এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সে সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতার ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি রাখছি। বাংলাদেশে সকল তন্ত্র-মন্ত্র দেখা শেষ।
এবার সাধারণ মানুষের প্রতিজ্ঞা বাংলাদেশ হবে কোরআনের শাসনের বাংলাদেশ। যারা রাজনীতি করবেন তারা আগে নিজেদের সংস্কার করুন। দলীয় নেতা কর্মীদের সংস্কারের আওতায় আনুন। স্বাধীনতার পরে আমরা অনেক শাসন দেখেছি কেহই প্রকৃত শান্তি ও নিরাপত্তা এনে দিতে পারে নি। আগামী দিন নির্বাচন হবে সংস্কার এবং মৌলিক অবকাঠামো ঠিক করে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন প্রসাশন তৈরী করে। এ কাজ করতে গিয়ে যদি দীর্ঘ সময়ও লেগে যায় জনগণ সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী ও দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ মেহমানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা কর্ণেল অব: খন্দকার ফরিদুল আকবর, মেজর অব: ড. মাসুদুল হাসান, বিশিষ্ট রাজনৈতিক গবেষক লায়ন নুরুজ্জামান হিরা, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব প্রফেসর এরশাদুর রহমান, ড. কাজী জিয়া উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী, নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ও মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ হোসেন, সুশীল ফোরাম এর সভাপতি মোঃ জাহিদ,ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ রিপাকলিকান পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমীনি, নজরুল অনুরাগ পরিষদ এর সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির, জাতীয় শক্তির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, নাগরিক মঞ্চের সমম্বয়কারী মোঃ মোমিনুল ইসলাম, নাগরিক মঞ্চের নেতা মোঃ আব্দুল মান্নান মিলন, মোঃ সাইফুল্লা মানসুর, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ সেবা পার্টির চেয়ারম্যান ড. আবু তোহা, মোঃ আশরাফুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী আহসান উল্লাহ শামীম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রচলিত ধারায় যারা রাজনীতি করেন তাদের কাছে স্বাধীনতা নিরাপদ নয়। এদেশে রাজনীতিবীদদের মধ্যে ইসলাম প্রিয় ব্যক্তিরাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এবং যা প্রমান হয়েছে জুলাই আগষ্টের বিপ্লবে। মিডিয়া ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা যা দেখেছি তাতে যারা জীবন দিয়েছে তারা সকলেই ইসলামী দলের সাথে সম্পৃক্ত। অন্যান্যদের মধ্যেও বিচ্ছিন্নভাবে আনন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তবে তারা সকলেই ইসলাম প্রিয় ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের আনুগত্য করেই বিপ্লবে অংশ নিয়েছেন। আগামীতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ইসলাম প্রিয় ও ইসলামী ধারার রাজনীতিবিদদের সাথে ঐক্যবদ্ধ থেকে নাগরিক মঞ্চের সকল নেতৃবৃন্দ সক্রিয় রাজনীতিতে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখবেন বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।