নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একই রাতে ৯ স্থানে ডাকাতি চুরির ঘটনা ঘটেছে। অটো চুরির সময় শামীম (৩০) নামে এক ডাকাতকে ধরে এলাকাবাসি গণপিটুনী দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এবং পরে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
ঘটনা গুলো ঘটেছে সোমবার (২৭ জানুয়ারী ) দিবাগত রাতে। গণপিটুনীর শিকার ডাকাত শামীম হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী নয়াপাড়া এলাকার রোস্তম আলীর পুত্র। তাকে গণপিটুনী থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ঐ রাতে অনুমান ১.৩০ মি. থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত খাগকান্দা ইউনিয়নের শম্ভুপুরা গ্রামের জামাল, নূর মোহাম্মদ, লিটন, ফরিদ, বাচ্চু, তাছলিমা,এবং পূর্ব আতাদী গ্রামের ফজলু ক্বারীর বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র ডাকাত দল বাড়ীর গেইট এবং ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে প্রত্যেক বাড়ীর পরিবারের সদস্যদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ সর্বস্ব লুটে নেয়। এর মধ্যে পূর্ব আতাদী গ্রামের ফজলু ক্বারীর বাড়ী থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের রাইনাদী এলাকায় অটোরিক্সা চুরী করে নিয়ে যাওয়ার সময় কূখ্যাত ডাকাত, একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত অসামী এবং ৫টি ডাকাতি মামলার আসামী সেন্দী নয়াপাড়া গ্রামের রোস্তম আলীর পুত্র শামীম (৩০) কে গণপিটুনী দেয়ার সময় থানা পুলিশ মূমুর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
এ সময় জনতার রোষানলে পড়ে এস আই মাজহার, এস আই আসাদুজ্জামান এবং এ এস আই মামুনুর রশিদ আহত হন। জনতা পুলিশ বহনকারী একটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুড় করে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ধৃত ডাকাত ও আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন ঘটনাগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রতিটি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাত গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।