নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে সাওঘাট এলাকার বিসমিল্লাহ পাইকারী আড়ৎ নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি বর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেল, পাজেরো গড়ি ও অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ জন গুলি বিদ্ধসহ ১৫জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার সাওঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৩ ঘন্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের একাংশের গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসলে দুপুর ২ টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
জানা যায়, সাওঘাট এলাকার বিসমিল্লাহ পাইকারী আড়তের দখল নিয়ে সেলিম প্রধান ও মজিবুরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পরে বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপুর সাথে মজিবুরের রফাদফা হলে আড়তটি দিপু ভুইয়ার সমর্থিত বিএনপি নেতা মোস্তাফা ভুইয়ার নামে চুক্তি হয়। আড়তের টাকা নিয়ে মোস্তাফা ভুইয়ার সাথে সেলিম প্রধানের দ্বন্ধ চলছিল। কয়েকদিন পুর্বে উভয় পক্ষের লোকজনকে ডেকে আড়ৎ থেকে কোন প্রকর টাকা তুলতে নিষেধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এদিকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দিপু ভুইয়ার সমর্থনে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সেলিম প্রধানের অফিসের সামনে দিয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও পরে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে মিছিলের লোকজন সেলিম প্রধানের বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন সেলিম প্রধনের বাড়ি ভাংচুর, তার ব্যবহৃত ১ টি পাজেরো গাড়ি ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৬২২৮ ও ১টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করে পু
ড়িয়ে দেয়। পরে গেইটের বাহিরে রাখা ১০টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষে স্বপন মিয়া (২৪), রাজু ভুইয়া (২৬), রফিক মিয়া (২৪) ও সাগর মিয়া (৩৩) গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়।
খবর পেয়ে আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিনের ১ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, একটি পাইকারী আড়ৎ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধের খবর শুনেছি। যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।